মানুষ মরতে চায় না কেন ?

মানুষ মরতে চায় না কেন

কেন মানুষ মরতে চায় না?

মানুষ সাধারণভাবে মৃত্যুকে অপছন্দ করে কারণ জীবনের প্রতি আমাদের একটি প্রাকৃতিক আকর্ষণ ও সংযোগ রয়েছে। এর কিছু মূল কারণ হলো:


জীবনের প্রতি আকর্ষণ: জীবনের আনন্দ, অভিজ্ঞতা এবং সম্পর্ক আমাদের গভীর প্রেরণা দেয়। আমরা জীবনের সুখ, আনন্দ এবং সম্পর্কের মাধুর্য উপভোগ করতে চাই।

অজানা ভয়: মৃত্যু সম্পর্কে মানুষের সাধারণত অজ্ঞতা ও ভীতি থাকে। মৃত্যুর পর কী হবে, সেই বিষয়টি অনিশ্চিত থাকে, যা উদ্বেগ সৃষ্টি করে।

অস্তিত্বের আকাঙ্ক্ষা: বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষা আমাদের অস্তিত্বের একটি মৌলিক অংশ। এটি প্রজনন এবং অস্তিত্বের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার একটি প্রাকৃতিক প্রবণতা।

মানসিক ও শারীরিক প্রভাব: আমাদের শরীর ও মস্তিষ্কে বেঁচে থাকার ইচ্ছা একটি প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া। বিপদে পড়লে শরীর প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় করে, যা আমাদের জীবন টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা করে।

আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় বিশ্বাস: অনেক মানুষ ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক বিশ্বাসের কারণে মৃত্যুকে ভয় পান। তারা মনে করেন মৃত্যুর পর কিছু অমঙ্গল বা কঠিন পরিণতি আসতে পারে।

এই সব কারণে মানুষের মধ্যে মৃত্যুর প্রতি একটি স্বাভাবিক অনিচ্ছা তৈরি হয়, যা জীবনের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন।


ইসলাম কী বলে এ ব্যাপারে?

ইসলাম মৃত্যু এবং জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা দেয়। ইসলামের দৃষ্টিকোণ থেকে, মৃত্যু এবং পরবর্তী জীবন নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধারণা রয়েছে:

মৃত্যুর অবধারিতা: ইসলামে মৃত্যু একটি অবধারিত বাস্তবতা হিসেবে বিবেচিত হয়। কোরআনে বলা হয়েছে, "প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে" (সূরা আলে ইমরান ৩:১৮৫)। এটি জানায় যে জীবন একদিন শেষ হবে এবং এই উপলব্ধি মুসলিমদের আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস এবং প্রস্তুতির আহ্বান করে।

মৃত্যু একটি পরীক্ষা: ইসলামে মৃত্যু শুধুমাত্র একটি শেষ নয়, এটি একটি পরীক্ষার অংশ। এটি জীবনের সত্যিকার অর্থ ও উদ্দেশ্য বুঝতে এবং আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে সাহায্য করে।

মৃত্যুর পরের জীবন: ইসলাম বিশ্বাস করে যে মৃত্যুর পর জীবন শেষ নয়, বরং পরকালের জীবন শুরু হয়। কোরআন এবং হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে মৃত্যুর পর মানুষ তার কর্মের হিসাব দিবে এবং পরকালে তার চূড়ান্ত গন্তব্য নির্ধারিত হবে — এটি স্বর্গ বা জাহান্নাম হতে পারে।

আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস: ইসলামে মৃত্যু আল্লাহর সিদ্ধান্ত ও পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেখা হয়। মুসলিমরা বিশ্বাস করে যে আল্লাহ সর্বজ্ঞ এবং সবকিছু তার পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটে। তাই, মৃত্যু এবং জীবনের প্রতিটি ঘটনা আল্লাহর ইচ্ছার অংশ হিসেবে গৃহীত হয়।

জীবনের মূল্য: ইসলামে জীবনকে একটি উপহার হিসেবে দেখা হয় এবং এটি সঠিকভাবে ব্যবহার করার আহ্বান করা হয়। জীবন চলাকালে আল্লাহর আদেশ মেনে চলা, সৎ কাজ করা এবং মানবতার সেবা করা গুরুত্বপূর্ণ।

মৃত্যু এবং পরকালের জীবন নিয়ে ইসলামী দৃষ্টিকোণ মানুষকে আশা, ধৈর্য, এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে জীবন কাটাতে উৎসাহিত করে।

অন্যান্য ধর্ম কী বলে?

বিভিন্ন ধর্মে মৃত্যু এবং পরকালের জীবন নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বিশ্বাস রয়েছে। এখানে কিছু প্রধান ধর্মের দৃষ্টিকোণ সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:

খ্রিস্টান ধর্ম

মৃত্যু: খ্রিস্টান ধর্মে মৃত্যু ঈশ্বরের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেখা হয়। এটি জীবনের একটি অবধারিত পর্যায় এবং পরকালের জীবন শুরু হবে বলে বিশ্বাস করা হয়।

পরকালের জীবন: খ্রিস্টান ধর্ম বিশ্বাস করে যে মৃত্যুর পর ব্যক্তি স্বর্গে বা নরকবাসে যাবে, যা তার জীবনের কাজের ওপর নির্ভর করে। যীশু খ্রিস্টের মাধ্যমে পাপের মুক্তি এবং চিরস্থায়ী জীবনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

হিন্দুধর্ম

মৃত্যু: হিন্দুধর্মে মৃত্যু পুনর্জন্মের চক্রের অংশ। মৃত্যু জীবনের শেষ নয়; এটি এক ধরনের পরিবর্তন, যা নতুন জন্মে পরিবর্তিত হয়।

পরকালের জীবন: হিন্দুধর্মে বিশ্বাস করা হয় যে আত্মা কর্মের ভিত্তিতে পুনর্জন্ম লাভ করে। আত্মা মোক্ষ (মুক্তি) অর্জন করতে পারে, যা সানসারা চক্র থেকে মুক্তি দেয়।

বৌদ্ধ ধর্ম

মৃত্যু: বৌদ্ধ ধর্মে মৃত্যু পুনর্জন্মের চক্রের অংশ। মৃত্যুর পর কীর্তির ভিত্তিতে পুনর্জন্ম ঘটে।

পরকালের জীবন: বৌদ্ধ ধর্মে “নির্বাণ” (মোক্ষ) অর্জন করা হল চূড়ান্ত লক্ষ্য, যা পুনর্জন্মের চক্র থেকে মুক্তি দেয় এবং সকল দুঃখ ও কষ্টের অবসান ঘটে।

জৈন ধর্ম

মৃত্যু: জৈন ধর্মে মৃত্যু পুনর্জন্মের চক্রের অংশ। এটি আত্মার চূড়ান্ত মুক্তির পথ হিসেবে দেখা হয়।

পরকালের জীবন: জৈন ধর্মে বিশ্বাস করা হয় যে আত্মার কর্মের ভিত্তিতে পুনর্জন্ম ঘটে। আত্মা চূড়ান্ত মুক্তি বা “মোক্ষ” লাভ করতে পারে, যখন সমস্ত কৃতকর্ম থেকে মুক্তি পায়।

ইহুদী ধর্ম

মৃত্যু: ইহুদী ধর্মে মৃত্যু একটি বাস্তব এবং অপরিহার্য ঘটনা, যা আল্লাহর সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে গৃহীত হয়।

পরকালের জীবন: ইহুদী ধর্মে পরকালের জীবন নিয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। কিছু ইহুদী বিশ্বাস করে যে মৃত্যুর পর পুনরুত্থান হবে, এবং কিছু সম্প্রদায় বিশ্বাস করে যে পরবর্তী পৃথিবীতে আধ্যাত্মিক জীবন হতে পারে।

প্রতিটি ধর্মের দৃষ্টিকোণ ভিন্ন এবং এর ভিত্তিতে জীবনের মূল্য এবং মৃত্যুর পরের জীবন নিয়ে বিভিন্ন বিশ্বাস ও অনুশীলন গড়ে ওঠে।

এতো ধর্মীয় বিশ্বাসের মধ্যে মতভেদ থাকলে সিদ্ধান্ত নিবো কিভাবে?

মৃত্যু, পরকালীন জীবন, এবং বিভিন্ন ধর্মীয় বিশ্বাসের মধ্যে মতভেদ থাকা সত্ত্বেও, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সাধারণ দিকনির্দেশনা রয়েছে। এই সিদ্ধান্তগুলি ব্যক্তির নিজস্ব বিশ্বাস, মূল্যবোধ, এবং জীবনদর্শনের ওপর ভিত্তি করে হতে পারে। এখানে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো যা আপনাকে সাহায্য করতে পারে:

নিজস্ব বিশ্বাসের অনুসন্ধান

  অধ্যয়ন করুন: বিভিন্ন ধর্ম, দর্শন, এবং আধ্যাত্মিক বিশ্বাস নিয়ে গভীরভাবে অধ্যয়ন করুন। কোরআন, বাইবেল, গীতা, বেদ, অথবা অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থ পড়ুন এবং বিশ্লেষণ করুন

বিচার করুন: আপনার মানসিক এবং আধ্যাত্মিক আকাঙ্ক্ষার সাথে সবচেয়ে বেশি সামঞ্জস্যপূর্ণ বিশ্বাসগুলিকে মূল্যায়ন করুন।

আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় পরামর্শ

ধর্মীয় নেতাদের সাথে আলোচনা: আপনার ধর্মীয় নেতাদের বা আধ্যাত্মিক গুরুদের সাথে আলোচনা করুন। তাদের অভিজ্ঞতা ও দৃষ্টিভঙ্গি আপনার সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করতে পারে।

অন্যান্য বিশ্বাসীদের সাথে আলাপ: বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সদস্যদের সাথে কথা বলে তাদের অভিজ্ঞতা এবং বিশ্বাস সম্পর্কে জানুন।

ব্যক্তিগত মূল্যবোধ ও লক্ষ্য

নিজের মূল্যবোধ নির্ধারণ করুন: আপনার জীবনের লক্ষ্য এবং মূল্যবোধের প্রতি নজর দিন। আপনার বিশ্বাস এবং সিদ্ধান্ত এমনভাবে গ্রহণ করুন যা আপনার মূল্যবোধের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

 জীবনের উদ্দেশ্য: জীবন ও মৃত্যুর উদ্দেশ্য সম্পর্কে ভাবুন এবং এটি আপনার বর্তমান বিশ্বাসের সাথে কেমন মিল খায় তা পর্যালোচনা করুন।

স্বাস্থ্য ও সুখ

মানসিক শান্তি**: এমন বিশ্বাস বা সিদ্ধান্ত নির্বাচন করুন যা আপনার মানসিক শান্তি এবং সুখ নিশ্চিত করে। জীবনের কঠিন মুহূর্তগুলোতে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অনুভব করা গুরুত্বপূর্ণ।

আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যের যত্ন: আপনার আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্য এবং সার্বিক স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। এটি আপনার জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করবে।

ফলাফল এবং পরিবর্তন**

লক্ষ্য স্থির করা: আপনার সিদ্ধান্তের সম্ভাব্য ফলাফল সম্পর্কে সচেতন হন। আপনার সিদ্ধান্ত কতটা আপনার জীবনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ তা পর্যালোচনা করুন।

পরিবর্তন করা: প্রয়োজনে আপনার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করুন বা নতুন দৃষ্টিকোণ গ্রহণ করুন। জীবনের পরিবর্তনশীলতার সাথে আপনার বিশ্বাস ও মূল্যবোধের সমন্বয় সাধন করুন।

অবশেষে, আপনার নিজস্ব চিন্তা, অনুভূতি, এবং আধ্যাত্মিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। এটি আপনার জীবনকে পূর্ণতা এবং অর্থপূর্ণ করতে সহায়তা করবে।

মানুষের ধর্মীয় আকর্ষণ: কোন ধর্মের দিকে বেশি?

মানুষের ধর্মীয় আকর্ষণ ও বিশ্বাস নানা কারণে ভিন্ন হতে পারে এবং এটি একটি জটিল বিষয়। সময়, স্থান, সংস্কৃতি, এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে ধর্মীয় আকর্ষণ পরিবর্তিত হয়। সাম্প্রতিক গবেষণা ও পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে কিছু সাধারণ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে:

খ্রিস্টান ধর্ম

বিশ্বব্যাপী প্রভাব: খ্রিস্টান ধর্ম বিশ্বের বৃহত্তম ধর্মগুলোর একটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, এবং আফ্রিকার বেশ কিছু অংশে প্রভাবশালী।

তথ্যসূত্র: খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারীরা বিশ্বের প্রায় ৩১% মানুষ। বিশ্বব্যাপী খ্রিস্টান ধর্মের সম্প্রদায় এবং প্রতিষ্ঠানগুলি ধর্মটির প্রতি আগ্রহ বজায় রেখেছে।

ইসলাম

বৃদ্ধি: ইসলাম বর্তমানে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা, এবং দক্ষিণ এশিয়ার বেশ কিছু দেশে এটি প্রধান ধর্ম হিসেবে পরিচিত।

তথ্যসূত্র: মুসলিম জনগণ বিশ্বের প্রায় ২৫% মানুষ। ইসলামের প্রতি আকর্ষণ বিশেষত মুসলিম প্রধান দেশগুলো এবং পশ্চিমা দেশগুলোতে নতুন মুসলমানদের বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে।

হিন্দুধর্ম

আগ্রহ ও অধ্যয়ন: হিন্দুধর্ম বিশেষত ভারত এবং নেপালের প্রধান ধর্ম। এটি পশ্চিমা দেশে আধ্যাত্মিক চর্চা এবং যোগব্যায়ামের মাধ্যমে পরিচিতি পেয়েছে।

তথ্যসূত্র: হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের সংখ্যা বিশ্বের প্রায় ১৫%। এই ধর্মের প্রতি আগ্রহ এবং অধ্যয়ন বিশ্বজুড়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বৌদ্ধ ধর্ম

বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রভাব: বৌদ্ধ ধর্ম বিশেষত দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে প্রধান ধর্ম। এটি পশ্চিমে আধ্যাত্মিক এবং দার্শনিক প্রভাব বজায় রেখেছে।

তথ্যসূত্র: বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষের সংখ্যা বিশ্বের প্রায় ৭%।

আধ্যাত্মিকতা ও অআনুষ্ঠানিক ধর্ম

বৃদ্ধি: অনেক মানুষ ঐতিহ্যগত ধর্মীয় পরিচয় ছাড়াই আধ্যাত্মিক চর্চা করছে এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বাইরে বিশ্বাস ও অভ্যাস অনুসরণ করছে।

তথ্যসূত্র: বিশেষত পশ্চিমা দেশগুলোতে, অআনুষ্ঠানিক ধর্মীয় বিশ্বাস এবং আধ্যাত্মিকতার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গবেষণা ও প্রবণতা:

ধর্মীয় অনুশীলন: আধুনিক সমাজে ধর্মীয় অনুশীলন এবং বিশ্বাসের পরিবর্তন অনেকাংশে সমাজের সামাজিক, অর্থনৈতিক, এবং সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটের ওপর নির্ভর করে।

প্রযুক্তি ও গ্লোবালাইজেশন: তথ্যপ্রযুক্তি এবং গ্লোবালাইজেশনের ফলে ধর্মীয় শিক্ষা এবং বৈচিত্র্যের ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা বিভিন্ন ধর্মের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করছে।

বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ধর্মীয় আকর্ষণ এবং অনুশীলনের প্রবণতা ভিন্ন হতে পারে এবং এটি ব্যক্তি ও সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে পরিবর্তিত হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস এবং চর্চার দিকে মানুষের আগ্রহ ও আকর্ষণ সময়ের সাথে পরিবর্তিত হচ্ছে এবং বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী প্রভাবিত হচ্ছে।

উপসংহার হিসেবে বলা যায়, মানুষ মরতে চায় না কারণ এটি জীবনের প্রতি তাদের প্রাকৃতিক আকর্ষণ, বেঁচে থাকার প্রবৃত্তি এবং আত্মরক্ষার অঙ্গীকারের প্রতিফলন। মৃত্যুকে অজানা ও অনিশ্চিত হিসেবে দেখার কারণে মানুষ সাধারণত এটি এড়িয়ে চলে এবং জীবনের আনন্দ, প্রিয়জনদের সান্নিধ্য ও লক্ষ্য পূরণের ইচ্ছা তাদের বেঁচে থাকতে উদ্বুদ্ধ করে। ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক বিশ্বাসও জীবনের প্রতি এই আকর্ষণকে আরও দৃঢ় করে তোলে, কারণ পরকাল বা পুনর্জন্মের ধারণা মানুষকে জীবনের প্রতি আশা ও ভালোবাসা জাগ্রত করে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url