পাগল বা মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির মেীলিক চারটি বৈশিষ্ট্য

পাগল এর মেীলিক চারটি বৈশিষ্ট্য


“পাগল” বা “মানসিক ভারসাম্যহীন” বলতে সাধারণত একজন ব্যক্তির মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা বোঝানো হয়। এর মধ্যে মানসিক বিভ্রান্তি, আবেগীয় অস্থিরতা, বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্নতা, বা সাধারণত সামাজিক আচরণে অস্বাভাবিকতা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। এবার আপনাদের সাথে পাগল এর মেীলিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করি।


গৃহহীন অথবা আশ্রয়হীন হয়ে পড়া

পাগল বা মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির প্রথম যে লক্ষন তা হলো বাসস্থল ত্যাগ করা । অথবা মাঝে মাঝে বাসস্থল ত্যাগ করে এক দিন বা দুই দিন পর আবার ফিরে আসা এবং ফাইনালি বাড়ী ত্যাগ করা আর কোন দিন ফিরে না আসা ।

খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন

পাগল বা মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির খাদ্যাভাস ঠিক থাকবেনা যেমন ধরুন মন চাইলো খাইলো মন চাইলো না খেলো না 

যে কোন ধরনের খাবার খেতে পারেন যেমন পচা খাবার, দুর্গন্ধ যুক্ত খাবার, ময়লা যুক্ত খাবার বাসি খাবার ইত্যাদি ।

শরীর হতে বস্ত্র ত্যাগ

পাগল বা মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিরা ঠিকমত  কাপড় পরিধান করবে না আংশিক নগ্ন অথবা পুরাপুরি নগ্ন হয়ে যাবে হিতাহিত জ্ঞানশূন্ন হয়ে পড়বে।


অনিয়ন্ত্রিত কাথাবার্তা

কথা বলার ভারসাম্ম হারিয়ে ফেলবে অহেতুক কথা বলবে অথবা  ভাষা খারাপ করে গালিগালাজ করবে ।


মানসিক ভারসাম্যহীনতার আরো কিছু  লক্ষণসমূহ:

যুক্তির অভাব: সাধারণ যুক্তি ও তর্ক করার ক্ষমতার ঘাটতি দেখা যায়। বাস্তবতার সাথে সংযোগ হারিয়ে ফেলতে পারেন।


অপ্রকৃতিস্থ আচরণ: অস্বাভাবিক ও সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয় এমন আচরণ প্রদর্শন।


মনের অস্থিরতা: মনের মধ্যে বিশৃঙ্খলা বা বিভ্রান্তি দেখা যায়, যা আচরণে প্রকাশ পায়।


অতি-উত্তেজিত মেজাজ: প্রায়ই অযৌক্তিক ক্রোধ, দুঃখ বা অতি-আবেগপ্রবণ আচরণ লক্ষ্য করা যায়।


বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্নতা: বাস্তব জীবনের সাথে তাল মেলাতে না পেরে নিজের কল্পনার জগতে বাস করা।


অতিরিক্ত সন্দেহপ্রবণতা: অযৌক্তিকভাবে চারপাশের মানুষ বা পরিস্থিতির প্রতি সন্দেহ বা ভয়ের অনুভূতি।


অনিয়ন্ত্রিত কথাবার্তা: প্রসঙ্গ বা পরিস্থিতির তোয়াক্কা না করে অসংলগ্ন কথা বলা।


ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন: আচরণ, চিন্তা বা অনুভূতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা যায়, যা স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলে।


আচরণের পুনরাবৃত্তি: একই কাজ বারবার করা, যেমন অকারণে হাত ধোয়া বা কোনো শব্দ বা বাক্য পুনরাবৃত্তি করা।


বোধশক্তির হ্রাস: চারপাশের পরিবেশ ও পরিস্থিতি সম্পর্কে বোঝার ক্ষমতা কমে যাওয়া।


সম্পর্ক বিচ্ছিন্নতা: পরিবার, বন্ধুবান্ধব বা কাছের মানুষের সাথে দূরত্ব তৈরি করা।


মুহূর্তে মনোভাবের পরিবর্তন: কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই এক মুহূর্তে খুশি এবং পরের মুহূর্তে দুঃখ বা রাগ অনুভব করা।


এগুলো সাধারণ লক্ষণ এবং একান্ত আমার ব্যক্তিগত মতামত এই লক্ষন যদি কারো মধ্যে দেখা যায় তাকে অবশ্যই সঠিক মানসিক স্বাস্থ্য নির্ণয়ের জন্য একজন পেশাদার মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জন্য একান্ত অনুরোধ করছি ।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url